জকিগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে ১২ নেতা রিকুইজিশনপত্র

আল হাছিব তাপাদার:: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে ও উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির মতামত ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কাজলসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মস্তুফা উদ্দিন। জবাব চেয়ে বসেছেন কার্যনির্বাহী সংসদের ১৪ নেতা।

গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিনের স্বাক্ষরিত কাজলসার ইউনিয়ন ও বারঠাকুরী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির কপি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। কমিটি প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বির্তকের ঝড় উঠে। শনিবার আটগ্রাম বাসস্টেশনে তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু প্রদর্শন করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। সোমবার তাৎক্ষণিক উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির ১২ জন নেতা জরুরী বৈঠকে বসে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কমিটি নিয়ে সভা আহবান করতে রিকুইজিশনপত্র পাঠান।

এ রিকুইজিশনপত্রে স্বাক্ষর করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বাবর হোসাইন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন লিমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন সাকেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আহমদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ আলম রাহাত, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আফনান, সমাজসেবা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উপ সমাজসেবা সম্পাদক রাসেল আহমদ, উপ ক্রীড়া সম্পাদক পিয়ার আহমদ।

তারা রিকুইজিশনপত্রে দুটি কমিটি অনুমোদনের বৈধতা চেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিনের কাছে জানতে চান, কোন কার্যক্ষমতা বলে এ দুটি কমিটি অনুমোদন করা হলো। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার সভাপতি-সম্পাদক বহন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, প্রায় দেড় বছর থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির কোন সভা হয়না। কমিটির মতামত ছাড়াই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কার্যক্রম বলে তারা দাবী করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ত্যাগীদের নিয়ে দুটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পদপদবী না পেয়ে কমিটি নিয়ে হয়তো কারো ক্ষোভ থাকতে পারে। উপজেলা ছাত্রলীগের ১৪ জন নেতা স্বাক্ষরিত রিকুইজিশন পত্র এখনো পাইনি। পত্র পাওয়ার পরপরই আমরা কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসে সৃষ্ট বিষয়টি সুরাহা করবো।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্রলীগ বৃহত্তর সংগঠন তাই সবাইকে পদপদবী দেয়া সম্ভব হয়না। এ জন্য অনেকে ক্ষোভ দেখাতে পারেন। উপজেলা ছাত্রলীগের ১৪ জন নেতার স্বাক্ষরিত রিকুইজিশনপত্র আমার কাছে পৌছেনি। আমি শুনেছি সভা আহবানের জন্য তারা রিকুইজিশনপত্র পাঠিয়েছেন। দুটি ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কোন ভূল ত্রুটি হলে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বসে আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর